গ্রেডেশন তালিকা তৈরির করা হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শিক্ষকদের গ্রেডেশনের তথ্য সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তবে, এ নিয়ে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, অন্য উপজেলা থেকে বদলি হয়ে আসা শিক্ষকদের তথ্য এন্ট্রির পর গ্রেডেশন তালিকা তাদের অবস্থান সবার শেষে দেখাচ্ছে। এতে পদোন্নতি নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করা সহকারী শিক্ষক এমনকি চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা সবচেয়ে বেশি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গ্রেডেশন তথ্য এন্ট্রির কাজ চলছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা শিক্ষকদের তথ্য সার্ভারে এন্ট্রি করছেন। আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রেডেশন তালিকা তৈরি করা হয়। কিন্তু গ্রেডেশন তালিকা দেখে মাথায় হাত পরেছে শিক্ষকদের।
দীর্ঘদিন ধরে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছি। পদোন্নতির আশায় ছিলাম। কিন্তু গ্রেডেশন তালিকা দেখে আতঙ্কিত আমরা। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে তথ্য এন্ট্রির পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রেডেশন তালিকা এসেছে। জানতে পেরেছি সে তালিকায় আমরা অনেক নিচে। কারণ আমি বদলি হয়ে এসেছি অর্থাৎ বহিরাগত শিক্ষক। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে পরিচালিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরাও আমরা আগে অবস্থান করছেন গ্রেডেশন তালিকায়। এভাবে হলে আমাদের পদোন্নতি পাওয়া হবে না বলে জানায়, প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত একজন সহকারী শিক্ষক।
বেশ কয়েকবছর সহাকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত শিক্ষকরা বলেন, আমরা বেশ কিছু দিন ধরে কর্মরত আছি। কিন্তু বহিরাগত শিক্ষক হওয়ায় অর্থাৎ বদলি হয়ে এ উপজেলায় আসায় গ্রেডেশন তথ্য এন্ট্রির পর আমাদের অবস্থান সবার শেষে দেখাচ্ছে। আমাদের আর পদোন্নতি পাওয়া হবে না। এ জটিলতায় পরা শিক্ষকরা সবাই আতঙ্কিত।
শিক্ষকদের গ্রেডেশন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকারি কর্মকমিশন পিএসসির মাধ্যমে শিক্ষকদের পদোন্নতি হবে। শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহের পর তা পিএসসিতে পাঠানো হবে এবং বহিরাগত শিক্ষকদের তথ্য এন্ট্রির পর আসা গ্রেডেশন তালিকায় তাদের অবস্থান সবার শেষে দেখাচ্ছে। যেসব শিক্ষক অন্য উপজেলা থেকে বদলি হয়ে এসেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ জটিলতা দেখা যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতর কর্তপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নীতিনির্ধারকরা হুটহাট ডিসিশন নিয়ে কিছু কাজ করতে চান। কিন্তু তা কিভাবে হচ্ছে বা হবে সে বিষয়ে আগে যাচাই করা হয়না। এতে ভোগান্তিতে পরতে হয় মাঠপর্যায়ের শিক্ষকদের। শিক্ষকরা দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়া হয়। আমর শিক্ষকরা দ্রুত এ জটিলতার নিরসন চাই। এছাড়া একজন শিক্ষক দীর্ঘদিন চাকরির পরই তিনি চলতি দায়িত্ব পান। আর একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে কর্মজীবনে তার বদলি হবেই। এখন বদলি হওয়ায় যদি শিক্ষকদের সিনিয়রিটি নিয়ে সমস্য হয় তা মেনে নেয়া যায়না। শিক্ষকরা দীর্ঘদিন কর্মরত এখন গ্রেডেশন তালিকায় তার অবস্থান দেখাচ্ছে সবার শেষে। নতুন যোগদান করা শিক্ষকদেরও নিচে তার অবস্থান দেখাচ্ছে। এতে শিক্ষকরা হাতাশ , জানান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনূর আল-আমিন।