ঈদের পর প্রান্তিক হাটগুলোতে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে কেজি প্রতি পাইকারিতে দর কমে গেছে ১৫-২০ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে হঠাৎ করে এমন অবস্থা ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলছেন চাষিরা। কৃষকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চান তারা।
ভোর থেকেই সবজি কেনাবেচায় জমে ওঠে নওগাঁর বদলগাছীর ভাণ্ডারপুর হাট। এখানে গ্রীষ্মকালীন সবজি পোটল, করলা, বেগুন, বরবটি ও আলুসহ নানা জাতের সবজির বিপুল সমারোহ ঘটে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে পাইকারি কেনাবেচার এ কর্মযজ্ঞ।আশপাশের অন্তত শতাধিক গ্রামের চাষিরা ক্ষেত থেকে তোলা সবজি এ হাটে নিয়ে আসেন। ঈদের পর বেড়েছে সব ধরনের সবজির সরবরাহ। চাষিদের অভিযোগ, সরবরাহ বাড়ার অজুহাতে সব ধরনের সবজি কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা কম দরে কিনছেন বেপারিরা।
গ্রামের হাটে সবজির দর কমলেও শহরের বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই।নওগাঁর ভাণ্ডারপুর হাট ইজারাদার মো. আহম্মদ আলী জানান, দূরের বেপারি না আসায় বেচাকেনায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।সপ্তাহে দু’দিন রবি ও বৃহস্পতিবার এ হাটে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার সবজি কেনাবেচা হয়।