ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত রয়েছে, কোনও পণ্যের ঘাটতি নেই। কোনও অসাধু ব্যবসায়ীকে সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। কৃত্রিম উপায়ে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুনেছি, তেলের বোতলের গায়ে যে দাম লেখা থাকে, বোতল থেকে খুলে বিক্রি করলে সে দামের কোনো বালাই থাকে না। এসব কথা শোনার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে ডিজিএফআই, পুলিশ, এনএসআই, ভোক্তা অধিকার, প্রতিযোগিতা কমিশন- সবাইকে বলেছি ইউ টেক ইউর অ্যাকশন।
খুচরা বাজারে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, ভোক্তা অধিকার আছে, তাদের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। আমরা এবার ডিসি এবং প্রশাসনের সাহায্য নিয়েছি। এ ধরণের কাজ যারা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
যৌথ অভিযান পরিচালনা করবেন কি না জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, যেখানে যেমন প্রয়োজন সেখানে তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোথাও যৌথ দরকার পড়ে সেখানে যৌথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি পুলিশ একা পারে, পুলিশ একা করবে, ডিসি পারলে ডিসি একা করবে। সবারই ম্যাজিট্রেসি ক্ষমতা আছে। যার-যার মত করে করবে। যদি কোথাও মনে করে সবাই একসঙ্গে যাওয়া দরকার, সেখানে তারা একসঙ্গে যাবে।
তিনি বলেন, সরকারের চেয়ে বড় হাত কারো নয়, আমরা বসতে চাই, সুবিধা দিতে চাই কিন্তু তাই বলে এমন না, তারা সুযোগ নেবেন। মাঝখানে তারা এসেছিল, তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে। আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি, নট পসিবল। আমরা আপনাদের (গণমাধ্যম) একটু সহযোগিতা চাই। আমাদের প্রশ্ন করেই শেষ করবেন না, আপনারা বাজারেও ঢুকে পড়েন। আপনারা কথা বলেন, অপনারা স্ক্রল, পেপারে লেখেন, এটার বেশি দাম, দেবেন না, সচেতন হোন।
টিপু মুনশি বলেন, সরকার কার্ড বিতরণ করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সারাদেশে এক কোটি মানুষের কাছে সাশ্রয়ী দামে চিনি, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, সোলা বিক্রয় করবে। এতে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ কম্পিটিশন কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আফজাল হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ. এইচ.এম. সফিকুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ নেওয়াজ তালুকদার, এসবির ডিআইজি এ.জেড.এম. নাফিউল ইসলাম, ক্যাব প্রকাশিত ভোক্তা কন্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, শিল্প মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই, এনএসআই, বিজিবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।