জাতীয়: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাসের ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রী কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকরের প্রথম দিনেই পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। বুধবার সকাল থেকে এই দুর্ভোগ শুরু হয় রাজধানীবাসীর। এ যেন ফাঁকা আছে, তবে যাত্রীদের ডাকা নেই।
বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও উঠতে পারেননি কেউ কেউ। বাস যেন থামছেই না। আবার কোনওমতে যারা উঠতে পেরেছেন; তারাও ভেতরে গিয়ে পড়েছেন সংকটে। মাস্ক নেই যাত্রীদের, মাস্ক নেই চালক ও অনেক সহকারীরও।
সকাল থেকে শুরু হওয়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের গণপরিবহনের এমন চিত্র প্রায় দিনভরই দেখা গেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। ক্ষুব্ধ ও নিরূপায় হয়ে সিএনজি বা রিকশার মতো পরিবহনে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে মানুষকে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও বিশ্ব রোড, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগসহ বিভিন্ন বাসস্টপ ও মোড়ে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দেখা গেছে বেশির ভাগ বাসের আসনই পূর্ণ। অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। তবে ভাড়া নেওয়া হয় ৬০ শতাংশ বেশি।
দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার নির্দেশনা জারি করে সরকার। এরপর আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে, যা চলবে আগামী দুই সপ্তাহ।
সূত্র:সমকাল