ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
রোববার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে দেশে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুরুতে ফাইজারের টিকা দিয়ে এই কার্যক্রম শ করা হবে বলে জানাগেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, রোববার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক টিকাদানের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হবে এবং পরে এর আওতা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, এখন বয়স্কদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ এবং প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে।
আর প্রায় পাঁচ কোটি টিকা এ মুহূর্তে সরকারের হাতে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যারা করোনাভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন তাদেরকেই একটি নির্দিষ্ট সময় পর তৃতীয় ডোজ নিতে হবে এবং এটিকেই বুস্টার ডোজ বলা হচ্ছে।
তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কতদিন পর বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে যে টিকা দেওয়া হয়েছিল সেটিই তৃতীয় ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার যাদের দিয়ে বুস্টার ডোজের সূচনা হবে তাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। যদিও তারা আগের দুই ডোজ হিসেবে কোন টিকা নিয়েছিলেন সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
তিনি বলেন, আমরা এখন ফাইজার দিয়ে শুরু করবো। এটুকুই এখন বলতে পারছি। রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন বলে আশা করছি।
অবশ্য এর আগেই এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে করোনার টিকার কার্যকারিতা কমে আসায় উন্নত দেশগুলো আগেই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। এখন করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার পর বাংলাদেশেও বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।