ইদানিং অনলাইন ব্যবসা যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে এদের কাস্টমার রিভিউ দেওয়ার পরিমান। এখন এমনি এক জনপ্রিয় অনলাইন কোম্পানির কথা শুনা যাচ্ছে যেখানে টাকার বিনিময়ে ফেইক ফাইভস্টার রিভিউ নেওয়া হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সূত্র মতে, শত শত মিলিয়ন ডলারের দ্রুত সম্প্রসারণশীল ব্যবসা এখন এই ফেইক রিভিউয়ের জগত। আর অর্থ উপার্জনের উপায় অনলাইনে খুঁজতে গিয়ে তিনি এসে ঠোক্কর খান এখানেই।
হাজার হাজার মানুষ অ্যামাজনের টেলিগ্রাম ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং চ্যানেলে যোগ দিচ্ছেন। এখানে নামপরিচয় অজ্ঞাত মধ্যস্থতাকারীরা তাদের কাজে নেন। সেই কাজটি হলো অর্থের বিনিময়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেইসের পণ্যের জন্য “ফাইভ স্টার রিভিউ” লিখে দেওয়া।
“এটি খুব নৈতিক কাজ হচ্ছে না, আইনসঙ্গতও নয়। তবে এটি আমাকে কয়েকটি জিনিসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে যেটি আমি আর কোনো ভাবে মেটাতে পারছিলাম না।” — রয়টার্সের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলছিলেন রোমের ওই মা। তিনি নিজ পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। কারণ, পরিচয় ফাঁস হয়ে গেলে অ্যামাজনের ইতালিয়ান সাইট তাকে নিষিদ্ধ করে দেবে।
বারবার লকডাউনে যাওয়ার ফলে বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো ইতালিতেও অ্যামাজন ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি যদিও বিক্রয় পরিসংখ্যান দেয় না, তবে মিলান পলিটেকনিকো ইউনিভার্সিটির গবেষণা বলছে, গত বছরের তুলনায় ইতালিতে পণ্যের অনলাইন বাণিজ্য বেড়েছে শতকরা ৩১ ভাগ।
অ্যামাজন বলছে, ভুয়া রিভিউ ঠেকানোর জন্য তারা যথেষ্ট উদ্যোগী। যে সব রিভিউ ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোতেও তারা সবসময়ই ফেইক রিভিউয়ের লক্ষণগুলো খুঁজে দেখেন। সেইসঙ্গে, বিধি লঙ্ঘন করেছে এমন কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হলে তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া বা নিষিদ্ধ করার জন্যও প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তুত।
“গ্রাহকদের রিভিউয়ের মান বজায় রাখতে আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অ্যামাজনে প্রকাশিত প্রতিটি রিভিউ যেন সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক হয় সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা উদ্ভাবন চালিয়ে যাব,” বলেছে অ্যামাজন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলভিত্তিক এই রিটেইল জায়ান্ট প্রায় এক দশক আগে ইতালিতে যাত্রা শুরু করে। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটি এখানে দুটি বিতরণ কেন্দ্র চালু করে। এ বছরই আরও তিনটি সাইট যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।