চট্টগ্রামের সঙ্গেই থাকতে চায় ফেনীর মানুষ। কুমিল্লা-নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলা নিয়ে নতুন বিভাগ গঠনের ঘোষণা আসার পর চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে থাকার পক্ষেই মত দিয়েছেন ফেনীর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেনী পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভা থেকে এই মতামত ব্যক্ত করা হয়। সভায় বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার নাগরিক নেতৃবৃন্দের মতামতের সমন্বয়, প্রতিফলন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করা হয়।
সম্প্রতি দেশে আরও দুটি প্রশাসনিক বিভাগ গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রেক্ষাপটে ফেনীর নাগরিক নেতৃবৃন্দ এই সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী।
বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান, ফেনীবাসীকে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে রাখতে— যেন তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের সঙ্গে ফেনীবাসীর দীর্ঘদিনের নানা ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ফেনীর সোনাগাজী ও চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম শিল্পনগরী ‘বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল’।
তারা বলেন, চট্টগ্রামের সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা–বাণিজ্যসহ নানা সম্পর্ক রয়েছে। ফেনীর বহু লোক চট্টগ্রামে ব্যবসা–বাণিজ্য, চাকরি করেন। অনেকেই চট্টগ্রামে বাড়ি করে বসবাস করেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী বীরকন্যা প্রতীলতা, সূর্য সেনের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামের সঙ্গে ফেনীর মানুষের দীর্ঘদিনের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে।
সভায় নাগরিক নেতৃবৃন্দের মতামতের সমন্বয়, প্রতিফলন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে ফেনীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরকে আহ্বায়ক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুর হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারীকে সদস্যসচিব করে ৩১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম মিয়াজী, বিএমএ সভাপতি শাহেদুল ইসলাম কাওছার, ব্যবসায়ী নেতা ইকবাল আলম, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আইনুল কবীর, পরিবহন নেতা জাফর উদ্দিন, আজম চৌধুরী, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের হারুন আর রশিদ, সাংবাদিক আসাদুজ্জমান, রফিকুল ইসলাম, আরিফুল আমিন প্রমুখ।