ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বায়ুর শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে ঢাকা। সোমবার (৩০ মে) সকাল ৮টার দিকে রাজধানী ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬২ রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারতের রাজধানী দিল্লি বায়ু মানের সূচক ১৫৬ নিয়ে দ্বিতীয়। তৃতীয় অবস্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু ১৫৫।
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত করা হয়। একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু পরিষ্কার বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ সাইটের ধুলো।
শীতের আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, রাস্তা, ইটভাটা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষক কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বায়ুর গুণমান তীব্রভাবে খারাপ হতে শুরু করে।
বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ৷ দূষিত বায়ু শ্বাস নেওয়া দীর্ঘকাল ধরে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়।