ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক
বুধবার (২২ জুন) থেকে ফের শুরু হয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। কিন্তু ফ্যামিলি কার্ড না পাওয়া, পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে না পৌছানোর কারণে অনেককে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার আগের মতো ট্রাকে নয়, শুধু ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য মিলছে। রাজধানীতে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্ধারিত টিসিবির ডিলারের দোকান অথবা স্থায়ী স্থাপনায়।
তবে প্রথম দিনেই দুপুর পর্যন্ত অনেক ডিলারের দোকান বন্ধ দেখা গেছে। সে কারণে ফ্যামিলি কার্ড পেয়েও খালি হাতে ফিরেছেন অনেকে।
আবার কোনো কোনো এলাকায় ডিলার পণ্য বরাদ্দ পেলেও সে ওয়ার্ডের কমিশনার ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ শেষ করতে পারেননি। ফলে ডিলারের কাছ থেকে সকালে একজনও পণ্য কেনেননি। সরেজমিনে দেখা গেছে এমন চিত্র।
দুপুর ১২টার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এক নম্বর ওয়ার্ডের ক্রেতাদের জন্য নিযুক্ত টিসিবির ডিলার মাহি এন্টারপ্রাইজের দোকানটি বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় দোকানের সামনে দেখা গেছে অনেক মানুষ। কেউ কেউ অপেক্ষা করে ফিরে গেছেন। আবার কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন কয়েক ঘণ্টা ধরে।
সেখানে সেকেন্দার আলী নামের একজন বলেন, এই দোকানে পণ্য দেবে বলে ওয়ার্ড কমিশনারের অফিস থেকে জানানো হয়। সকাল ৯টায় এসেছি। কিন্তু দোকান বন্ধ। অনেক মানুষ এসে ফিরে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে মাহি এন্টারপ্রাইজের মোবাইলে যোগাযোগ করলে ডিলারের প্রতিনিধি দাবি করে রাবেয়া বলেন, এখনও মাল (পণ্য) আসেনি। টিসিবিতে আছি। দুপুরের পর দেওয়া হবে।
একই অবস্থা দেখা গেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের টিসিবির ডিলার মুন ট্রেডার্সে। সেখানেও দুপুর নাগাদ বিক্রি শুরু হয়নি। তবে সেখানে ডিলারের প্রতিনিধি জানান, একটু আগে পণ্যের বরাদ্দ পেয়েছি। কিন্তু কমিশনার অফিস থেকে বিতরণ হয়নি কার্ড। সেজন্য বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
দক্ষিণের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দোকান জে কে ট্রেডার্সেও সকাল থেকে পণ্য বিক্রি হয়নি। যদিও এ দোকান সকাল ৯টায় খুলেছে। ডিলারের প্রতিনিধি বাবু জানান, কমিশনার কার্ড দিতে পারেননি। এজন্য বিক্রি বন্ধ। সকাল থেকে একজনকেও পণ্য দিতে পারিনি।
জানতে চাইলে ওয়ার্ড কমিশনার মামুন রশিদ শুভ্র বলেন, ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করতে পারিনি। প্রতিটি কার্ড হাতে লেখে পূরণ করে দিতে হচ্ছে। অনেক কাজ। আজকের মধ্যে কার্ড দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কাল থেকে পণ্য কিনবেন ক্রেতারা।
টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমের চলতি দফায় শুধুমাত্র তিনটি পণ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো প্রতি লিটার সয়াবিন ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা এবং মসুর ডাল ৬৫ টাকা। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন।
ডিলাররা জানিয়েছেন, তাদের ডিলারপ্রতি দুই হাজার লিটার তেল, দুই হাজার কেজি মসুর ডাল এবং এক হাজার কেজি চিনি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা এক হাজার মানুষের মধ্যে বিতরণ সম্ভব।