সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০৩৪ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুর জন্য নেয়া সকল উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ পরিশোধ হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে এখন পর্যন্ত ছয় হাজার চারশ ৩৪ কোটি তিন লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদের এক প্রশ্নোত্তরে বগুড়া-৫ আসনের হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রতিদিনের সংবাদ থেকে জানা যায় সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ছয় হাজার চারশ ৩৪ কোটি তিন লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতুর পরিচালন, রক্ষাণাবেক্ষণ ও ডিএসএল পরিশোধ বাবদ ব্যয় হয়েছে চার হাজার ১০৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ ব্যয় তিন হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আদায়কৃত অর্থ থেকে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ সেতুর নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের ঋণ পরিশোধ করা হয়।
তবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় অ্যামর্টাইজেশন শিডিউল অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো থেকে নেয়া ঋণ সেতু থেকে আদায় করা টোলের মাধ্যমে ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
ভোক্তাকণ্ঠ/এনএইচ