আজ সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে আগামী ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সীমিত লকডাউন দিয়েছে সরকার। এই লকডাউনে বন্ধ আছে রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন। তবে সীমিত পরিসরে অফিস এবং কলকারখানা-শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া যাত্রীরা।
কর্মস্থলে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককেই। সড়কে রিকশা ও ভ্যান ছাড়া কোনো গণপরিবহন চলাচল করছে না। উপায় না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে, ভ্যান ও রিকশায় করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা রাইড শেয়ারিংয়ের গাড়ির দেখা মিললেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। তাছাড়া ভাড়াও বেশি। তবে সড়কে প্রচুর সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেটকার) ও পণ্যবাহী যান রয়েছে। রয়েছে প্রচুর রিকশা।
লকডাউন এ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই তা করছে না কিংবা সেই সক্ষমতা নেই তাদের। অনেক সরকারি অফিসের কর্মচারীরাও অফিসে যেতে বেকায়দায় পড়েন।
অফিসগামী এক যাত্রী শাকিউল আলম তানিনের সাথে কথা বলে জানা গেল, তিনি সকাল নয়টা থেকে প্রায় বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন পরিবহনের।
তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন তো বন্ধ। কিভাবে যাবো বুঝতে পারছি না। আর এই লকডাউনে ঝুঁকি নিয়ে অফিস যাওয়াটাও খুব কষ্টকর।’
অনিশ্চিত যাওয়া-আসায় কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিংবা এই যাত্রা কতটা নিরাপদ সে নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।