সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরনের লক্ষ্যে আজ আরো ১৮’শ মেট্রিক টন চাল,১.৫ কোটি টাকা এবং ২৪ হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দিয়েছে সরকার ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার (২২ জুন) এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দকৃত জেলা সমূহের মধ্যে সিলেট জেলার জন্য ৬’শ মেট্রিকটন চাল এবং ১০ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ৪’শ মেট্রিকটন চাল এবং ১০ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । হবিগঞ্জ জেলার জন্য ১’শ মেট্রিকটন চাল ২০ লক্ষ নগদ টাকা এবং ২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । মৌলভীবাজার জেলার জন্য ২’শ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ লক্ষ নগদ টাকা । নেত্রকোনা জেলার জন্য ২’শ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ লক্ষ নগদ টাকা । কুড়িগ্রাম জেলার সংখ্যা ২’শ মেট্রিকটন চাল এবং ২০ লক্ষ নগদ টাকা । জামালপুর জেলার জন্য ১’শ মেট্রিক টন চাল,১০ লক্ষ নগদ টাকা এবং ২ হাজার অন্যান্য খাবারের প্যাকেট ।
এর আগে দেশের ১১ টি জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় মানবিক সহায়তা হিসেবে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১৭ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ২,২২০ মেট্রিক টন চাল, তিন কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা এবং ৭১ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ।
এর মধ্যে রয়েছে সিলেট জেলায় এক হাজার দুই’শ মেট্রিকটন চাল,এক কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা এবং ২৫ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । সুনামগঞ্জ জেলায় ৭২০ মেট্রিক টন চাল, এক কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা এবং ১৭ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । নেত্রকোনা জেলায় দুইশত মেট্রিক টন চাল, ৩০ লক্ষ টাকা এবং ৮ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । রংপুর জেলায় তিন হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । নীলফামারী জেলায় ৫ লক্ষ টাকা এবং ৩ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । কুড়িগ্রাম জেলায় ১০ লক্ষ টাকা এবং এক হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । হবিগঞ্জ জেলায় ১০ লক্ষ টাকা এবং ২ হাজার শুকনো অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । মৌলভীবাজার জেলায় একশত মেট্রিক টন চাল, ১০ লক্ষ টাকা এবং ২ হাজার শুকনো অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । শেরপুর জেলায় ১০ লক্ষ টাকা এবং ৪ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । জামালপুর জেলায় ৪ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট । কিশোরগঞ্জ জেলায় ২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট ।
বরাদ্দকৃত ত্রাণকার্য (নগদ) অর্থ শুধুমাত্র আপদকালীন সময়ে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করা হবে ।