অনলাইন ডেস্কঃ
চলতি মৌসুমে বন্যায় ধান, পাট সহ বিভিন্ন ফসলের প্রায় ৩৪৯ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। আজ সোমবার বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও তা উত্তরণে করণীয় বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
সভায় জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ের অতিবৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যায় ১৪টি জেলায় ১১টি ফসলের প্রায় ৭৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে রয়েছে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর,গাইবান্ধা, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ, রংপুর,গাইবান্ধা সহ আরো) বেশ কিছু জেলার নাম।
দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্যায় মানিকগঞ্জ, বগুড়া, টাংগাইল, রাজশাহী, দিনাজপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, কিশোরগঞ্জ সহ মোট ২৬ টি জেলায় ১৩টি ফসলের প্রায় ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বন্যায় আউশ, আমন, সবজি, পাটসহ বেশ কিছু ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কৃষি মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি না হলে আমনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনর আশা করেন তিনি।
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান সভায় বলেন এরই মধ্যে ১৭টি জেলা বন্যায় প্লাবিত এবং ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৭ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, নতুন করে ২৩ জেলায় বন্যা বিস্তৃতি লাভ করে অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এছাড়া টানা বর্ষণ ও উজানে ঢলের কারনে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ঢাকা জেলার আশপাশের নিম্নাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।