মোট ১০৬টি দেশের ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়েছে একটি হ্যাকিং সংক্রান্ত ফোরামে।এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩৮ লক্ষেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য রয়েছে।সর্বমোট বিশ্বের ৫৩ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর পরিচয়, ব্যক্তিগত তথ্য এবং ফোন নাম্বার ফাঁস হয়েছে যা হ্যাকারদের কাছে সুপরিচিত একটি অনলাইন ডেটাবেজ-এ প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ভারত ও ব্রিটেনের ব্যবহারকারীরা।ভারতে ৬০ লক্ষ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩কোটিরও বেশি এবং ব্রিটেনের প্রায় ১ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়েছে।ফাঁস হওয়া তথ্যাদির মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর, লোকেশান ডেটা, জন্মতারিখ, ফেসবুক আইডি, বায়ো। রয়েছে ইমেল আইডি-ও।এই তথ্যাবলী দিয়ে সাইবার অপরাধীরা সহজেই কোনও স্ক্যাম করতে পারবে। শুধু তাই নয়, কোনও ব্যক্তির ফেক আইডি-ও বানাতে পারবে অনলাইনে। ডেটা বিক্রি-ও হতে অপর কোনও সংস্থার কাছে।ডেটা লিক-এর এই বিষয়টি প্রথম নজরে আনে অ্যালন গ্যাল, সিটিও, হাডসন রক, একটি সাইবার ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ফার্ম।প্রথম জানুয়ারি মাসে একটি টেলিগ্রাম বটের মাধ্যমে ডেটা বিক্রি হচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন অ্যালন গ্যাল। যদিও পরবর্তীকালে দেখা গিয়েছে যে বিনামূল্যেই মিলছে এই বিপুল ডেটা। ফলে অপরাধীদের কাছে এই বিপুল তথ্যভান্ডার পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানান, ২০১৯ সালে এই ডেটার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই বছরেই অগস্ট মাসের মধ্যে আমরা বিষয়টার মোকাবিলা করেছি।তবে, ফেসবুকের এই ‘মোকাবিলার’ তত্ত্ব মানতে নারাজ অনেকেই।ঠিক কীভাবে বিষয়টি হ্যান্ডেল করা হয়েছিল তাই নিয়ে কিছুই জানায়নি সংস্থা।সেই সঙ্গে এখনও ডেটা ফাঁস হয়ে পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সাইবার বিশেষজ্ঞ।
ফেসবুকে আপনার ব্যক্তিগত গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা একটি টুল ব্যবহার করে তা আপনি এখন যাচাই করতে পারবেন।ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এই ওয়েবসাইট: Have I Been Pwned থেকে এখন জেনে নিতে পারবেন তাদের ইমেইল ঠিকানা এবং মোবাইল ফোন নাম্বারও ফাঁস হয়েছে কিনা।