প্রায় ২০ মাস পর বাংলাদেশিদের জন্য কোয়ারেন্টাইনমুক্ত ভ্রমণ সুবিধা চালু করলো ভারত। অবশ্য শুধু বাংলাদেশ নয়, এখন থেকে আরও ৯৮টি দেশের ভ্রমণকারীরা এই সুবিধা পাবেন। এসব দেশের পূর্ণডোজ টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের ভারতে গিয়ে আর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না, শুধু পৌঁছানোর পর প্রথম ১৪ দিন স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে রাখলেই চলবে।
ভারত সরকারে ঘোষণা অনুসারে, জাতীয়ভাবে অথবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত টিকার পূর্ণডোজ গ্রহীতাদের সনদের স্বীকৃতির ক্ষেত্রে যেসব দেশের সঙ্গে ভারতের পারস্পরিক চুক্তি রয়েছে এবং যারা ভারতীয় নাগরিকদের ছাড় দিচ্ছে, সেসব দেশের ভ্রমণকারীদেরও একই সুবিধা দেবে ভারত।
গত ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ ধরনের দেশের সংখ্যা ৯৯টি, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এখন থেকে এসব দেশের ভ্রমণকারীদের ভারতে পৌঁছানোর পর করোনা পরীক্ষার ঝামেলাতেও পড়তে হবে না।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ মাসে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। শুধু তাই নয়, ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও কমিয়ে দেয় দেশটি। পরে অবশ্য এয়ার বাবল ব্যবস্থায় কিছু দেশের সঙ্গে সীমিত আকারে যোগাযোগ চালু করে তারা। গত অক্টোবর থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটের পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছিল ভারত, এখন বাণিজ্যিক ফ্লাইটের পর্যটকদের জন্যেও সেই সুবিধা চালু হলো।
এর আগে, নিজেদেরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হলে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে বেশ কিছু ভিসা চালু করে ভারত, তবে পর্যটক ভিসা বন্ধই ছিল। এ অবস্থায় গত সপ্তাহে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সুখবর শোনান এ দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
আখাউড়া চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিসা দেওয়া শুরু হবে। আপাতত ৩০ দিনের জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পাবেন বাংলাদেশিরা। তবে যেতে হবে প্লেনে। অবশ্য স্থল এবং রেলপথও শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে বলে জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।
ভারত সরকারের ঘোষণা অনুসারে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম পাঁচ লাখ আবেদনকারীকে বিনামূল্যে পর্যটক ভিসা দেওয়া হবে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ হাজার মানুষ বিনামূল্যে ভিসা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ার পর ভারতের পর্যটন শিল্প ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আশা করছে দেশটি।