করোনা সংক্রমণ রোধে মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুধু জরুরি পরিবহনের জন্য হলেও ফেরি ঘাটে ভিড়লেই অপেক্ষমান যাত্রীরা লাফিয়ে ফেরিতে উঠা শুরু করে। ফলে এই ভিড়ে দীর্ঘসময় আটকে থাকে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন।
এসময় কোনো বিধিনিষেধই মানতে চাইছেন না দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলাবাজার ঘাট থেকে দুটি ফেরি অ্যাম্বলেন্সসহ জরুরি যানবাহন নিয়ে পার হয়। তবে যাত্রীদের চাপে জরুরি যানবাহন তোলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসিকে বেগ পেতে হচ্ছে।
সকাল থেকেই বাংলাবাজার এবং শিমুলিয়া পাড়ে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড ভিড় শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড ভিড় বাড়ে।
খুলনা থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসা যাত্রী আয়শা বেগম জানান, তার এক নিকটাত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। জরুরি কারণে ঢাকা যাবেন। ভোররাতে সাহরি খেয়ে রওনা দিয়েছেন। প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ করে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছান। এসে দেখেন ঘাটে ফেরি বন্ধ। কখন ওপাড়ে যেতে পারবেন, সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তিনি।
অ্যাম্বুলেন্সচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মুমূর্ষু রোগী নিয়ে বরিশাল থেকে সকাল ৭টায় বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছেছি। গাড়ির মধ্যে রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেরি ছাড়ার কথা বললেও সময়মতো ছাড়ছে না। দু-একটি ফেরি এলেও যাত্রীদের চাপে অ্যাম্বুলেন্স উঠানো যাচ্ছে না। ঢাকায় কখন পৌঁছাতে পারব তা জানি না।’
লকডাউনের জন্য এ রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে লাশ, রোগীবাহী আম্বুলেন্স, জরুরি সেবামূলক ও পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারে ফেরি চলাচল করবে- বিআইডব্লিউটিসি।
সূত্রঃ জাগোনিউজ