সাত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি। চাল, আটা, ময়দা, রসুন, ডাল, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম বাজারে বেশ চড়া। এছাড়া বেড়েছে গরুর মাংস, দেশি মুরগি, গুঁড়োদুধের দাম। সীমিত আয়ের মানুষদের জন্য নিত্যদিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে চাপে পড়তে হচ্ছে।
করোনার মধ্যে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম কমাতে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বাজার মনিটরিং জোরদার করা উচিত ছিল। সেটা হয়নি। বরং আমাদের অল্প টাকা মধ্যে থেকে বড় অংশ বাজারে লুট হচ্ছে। পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার জানান এক ক্রেতা।
নতুন বাজেটের আপাতত কয়েকটি পণ্যের দাম ঘোষণা দেওয়া হলেও তার প্রভাব বাজারে দেখা যায় নি। বাজেটে কোনো কিছুর দাম কমলে সেটা পাইকারি বাজার থেকে আনার পরে কমে বিক্রি হবে। অর্থাৎ, কমলেও সেটা তিন থেকে চারদিন পর কার্যকর হবে বলছেন, দোকানদার শফিকুর রহমান।
তবে বাজারে আটা, ময়দা, মসুর ডাল ও সিগারেটের মতো কিছু পণ্যের দাম বাজেটের প্রভাবে দুই-তিনদিন আগে বেড়েছে। সেগুলোর দাম এখনো চড়া।
এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে কোনো কিছুর দাম বাড়লে সেটা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়। কিন্তু কমলে সেটা কার্যকর করতে গড়িমসি করেন ব্যবসায়ীরা। এটা রীতি হয়ে গেছে।
চিকন, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম গত তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে আরও ১ থেকে ২ টাকা বেড়ে গেছে। দাম বেড়ে চিকন চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, যা দুই দিন আগেও ৬০ থেকে ৬৪ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। গরিবের মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমনটাই দেখা গিয়েছে।
চালের পাশাপাশি দাম বাড়তি আটা ও ময়দার। ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক প্যাকেট আটার দাম বেড়ে এখন ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৪ টাকার মধ্যে।
বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম দুই দফায় কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। গত শুক্রবার ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এর সঙ্গে বেড়েছে রসুনের দাম। আমদানি করা রসুনের দাম বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত শুক্রবার ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। একইভাবে বাজারে মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে।