ভোক্তাকন্ঠ ডেস্কঃ
আসন্ন ঈদে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও নকল, ভেজাল পন্যে প্রতিরোধের পাশাপাশি কোরবানির পশুর চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও ন্যায্যমূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে বাজার তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অধিকমূল্যে পণ্য/ঔষধ বিক্রয় করা, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল পণ্য/ঔষধ বিক্রি করায় ১৩২ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এর নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির পরামর্শ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোরবানি পশুর চামড়া মনিটরিং সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্তক্রমে ঢাকাসহ সারাদেশে ৮৯টি বাজারে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত বাজার অভিযান পরিচালনার দ্বায়িত্বে ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা, মাগফুর রহমান, মাহমুদা আক্তার।
এ সময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা আসন্ন ঈদে সঠিক পদ্ধতিতে কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণ করতে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয় বিক্রয় করতে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আহবান জানান।
এছাড়া জাতীয় সম্পদ চামড়া, রক্ষা করব আমরা” স্লোগানকে সামনে রেখে সাভার ট্যানারী শিল্প নগরী ও গাবতলী কুরবানী পশুর হাটে দিনব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় কুরবানীর পশুর চামড়া যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে তা ক্রয় বিক্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা চামড়া শিল্প নগরীর সম্মানিত প্রকল্প পরিচালক মহোদয়সহ অন্যান্য অংশীজনের সাথে জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া ঢাকার বাইরে ৪৩ জন কর্মকর্তা বিভাগে উপপরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বেও বাজার অভিযান পরিচালিত হয়। কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান করা হয়।