ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর সোমবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) ফাহমিনা আক্তারের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর রোববার, প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৩৭ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৩৪ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নেত্রকোণা, ফরিদপুর, ফেনী, কক্সবাজার, নোয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, রংপুর, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, জয়পুরহাট, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব আফরোজা রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক সিদ্ধিরগঞ্জ, বিমানবন্দর ও শাহবাগ এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রির অপরাধে ‘সাথী এন্টারপ্রাইজ’ কে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘টাঙ্গাইল মিষ্টি ঘর’ ও ‘টাঙ্গাইল পুষ্টি ঘর’কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা ও ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘মদিনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট’, ‘ওয়ান্ডার ইন রেস্টুরেন্ট’ ও ‘মক্কা হোটেল’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘ওয়ান্ডার ইন কনফেকশনারী’, ‘মুসলিম সুইটস’ ও ‘ভিশন ফার্মা’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা ও ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১,৭২,০০০/- (এক লক্ষ বাহাত্তর হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব রজবী নাহার রজনী কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর হাতিরপুর এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘ভাই ভাই স্টোর’ কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘জাকির স্টোর’ কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘লোকনাথ স্টোর’ ও ‘বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার’ কে যথাক্রমে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা ও ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকাসহ মোট ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ২৯টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৭২,৫০০/- (তিন লক্ষ বাহাত্তর হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১,৫৭,৫০০/- (এক লক্ষ সাতান্ন হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৭ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ৩৯,৩৭৫/- (ঊনচল্লিশ হাজার তিনশত পঁচাত্তর) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৩৪টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৭টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৮৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭,৩২,০০০/- (সাত লক্ষ বত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।