ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) ফাহমিনা আক্তারের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, বান্দরবান, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বরিশাল, ভোলা, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: মাসুম আরেফিন, জনাব মাগফুর রহমান ও জনাব ইন্দ্রানী রায় কর্তৃক রমনা ও হাজারীবাগ এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘ঘরোয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট’, ‘সানমুন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট’, ‘আল মুসলিম রেস্টুরেন্ট’, ‘ক্যাফে ডি তাজ’ ও ‘ভর্তা ভাত ফুড কোর্ট’ কে যথাক্রমে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা ও ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘জাহেদের পেয়াজের দোকান’, ‘রায়ের বাজার কাঁচাবাজার ২৬ নং দোকান’ ও ‘রিপন স্টোর’ কে যথাক্রমে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা করে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘জায়েদ জেনারেল স্টোর’ কে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৫৮,০০০/- (আটান্ন হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অপরদিকে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর বনানী এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২,৫০০/- (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৬টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৮২টি প্রতিষ্ঠানকে ৫,২০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো ও ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১,০৬,০০০/- (এক লক্ষ ছয় হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৬ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ২৬,৫০০/- (ছাব্বিশ হাজার পাঁচশত) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৪০টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৬টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬,৮৬,৫০০/- (ছয় লক্ষ ছিয়াশি হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।