ঢাকা, ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল সোমবার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪৩ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, সিলেট, মৌলভীবাজার, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও গাইবান্ধা-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব মো: মাসুম আরেফিন, জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব ইন্দ্রানী রায় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক ধানমন্ডি, তেজগাঁও, ভাষানটেক ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘মারিয়া বাণিজ্যালয়’, ‘আহনাফ এন্টারপ্রাইজ’, ‘ভাই বোন ট্রেডার্স’, ‘করিম মাংস বিতান’, ‘রিপন ট্রেডার্স’, ‘রনি মাংসের দোকান’, ‘ঈশান ট্রমি’, ‘মোশারফের পিয়াজের দোকান’, ‘যশোর ট্রেডার্স’, ‘রুহুল আমিনের পিয়াজের দোকান’, ‘রেজাউলের পিয়াজের দোকান’, ‘আক্তার স্টোর’, ‘এখলাসের মুদির দোকান’, ‘এরশাদের পিয়াজের দোকান’, ‘মো: আব্দুল কাদিরের পিয়াজের দোকান’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘কুমিল্লা ফাস্ট ফুড’, ‘হক বেকারী’, ‘সাজ খাবার ঘর’, ‘নাদিম বিরিয়ানী এন্ড রেস্টুরেন্ট’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অপরাধে ‘আল বারাকা ফার্মেসী’ কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৯১,০০০/- (একানব্বই হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৬টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৯৮,০০০/- (তিন লক্ষ আটানব্বই হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১২,০০০/- (বারো হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ২ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।
গত ১৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সর্বমোট ৪৩টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ২টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫,০১,০০০/- (পাঁচ লক্ষ এক হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।