ঢাকা, ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল সোমবার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪৮ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, নওগাঁ, মাগুরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, রংপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক গুলশান, মোহাম্মদপুর ও সূত্রাপুর এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘কামাল স্টোর’ কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘ইমরান ফলের দোকান’, ‘মুরাদ ফলের দোকান’, ‘রাজশাহী ট্রেডার্স’, ‘মেসার্স বিক্রমপুর ট্রেডার্স’, ‘রুপসা ট্রেডার্স’, ‘বিক্রমপুর বাণিজ্যালয়’, ‘শাহ আলম বাণিজ্যালয়’, ‘মুন্সিগঞ্জ বাণিজ্যালয়’, ‘আনিস ফলের দোকান’, ‘ফারুক ফল ঘর’, ‘বস সুইটস’, ‘সবজি ঘর’, ‘রানা ফলের ঘর’, ‘মেসার্স সেতু বাণিজ্যালয়’ কে যথাক্রমে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘মেসার্স নাইসা বাণিজ্যালয়’, ‘মেসার্স আসিফ বাণিজ্যালয়’, ‘মেসার্স আব্দুল্লাহ বাণিজ্যালয়’ কে যথাক্রমে ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা, ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা, ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১,৫২,০০০/- (এক লক্ষ বাহান্ন হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৪৩টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৮৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,০৭,২০০/- (তিন লক্ষ সাত হাজার দুইশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৩ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ৩,৭৫০/- (তিন হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
গত ১৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সর্বমোট ৪৮টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৩টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪,৭৪,২০০/- (চার লক্ষ চুয়াত্তর হাজার দুইশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।