ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল সোমবার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪৯ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, শেরপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, বাগেরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক শেরে বাংলা নগর, তেজগাঁও, বংশাল, যাত্রাবাড়ী ও ওয়ারী এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘কাইয়ুম স্টোর’, ‘আমান বেকারী’, ‘মজিদ বেকারী’, ‘কাওসার বেকারী’, ‘মদিনা বেকারী’, ‘লাকি বেকারী’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা, ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘কস্তুরী ছায়ানীড়’, ‘নবাব ইউমা মার্কেট’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘কস্তুরী ছায়ানীড়’, ‘হোটেল নিউ স্টার’, ‘জননী রেস্টুরেন্ট’, ‘সকাল সন্ধা হোটেল’, ‘ইউসুফ স্টোর’, ‘মজিদ বেকারী’, ‘সুবর্ণ হোটেল’ কে যথাক্রমে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা, ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ২৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ২,০২,০০০/- (দুই লক্ষ দুই হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৪৩টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,২৯,৮০০/- (চার লক্ষ উনত্রিশ হাজার আটশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৩ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৪৯টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৩টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬,৩৯,৮০০/- (ছয় লক্ষ উনচল্লিশ হাজার আটশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।