ঢাকা, ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৫০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা, খুলনা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব মো: মাসুম আরেফিন, জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব মাগফুর রহমান ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক তেজগাঁও, ভাটারা, মুগদা ও গুলশান এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘আরবী ফল ভান্ডার’, ‘তৃপ্তি বিরিয়ানী হাউস’, ‘মিম ফল ঘর’, ‘বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডার’, ‘রাসেল মসলা ঘর’, ‘আল-মদিনা জেনারেল স্টোর’, ‘কিচেন মার্কেট (কাওরান বাজার)’, ‘বরিশাল ভান্ডার’, ‘মায়ের দোয়া মশলা ঘর’, ‘জুয়শা মিষ্টান্ন ভান্ডার’ কে যথাক্রমে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘ব্রয়লার চিকেন হাউস’, ‘মায়ের দোয়া স্টোর’, ‘Caup Shop’, ‘ভাই ভাই হোটেল’, ‘বাটন ভোজন’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘ভাই ভাই জেনারেল স্টোর’ কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘ভিলেজ সপ সেন্টার’ কে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৬ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৬৪,৫০০/- (চৌষট্টি হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অপরদিকে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর কলাবাগান এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৪৩টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৯৫,০০০/- (তিন লক্ষ পঁচানব্বই হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা ও পরিমাপে কারচুপির অপরাধে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩,০০০/- (তেষট্টি হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৭ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ১৫,৭৫০/- (পনের হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৫০টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৭টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫,৩০,৫০০/- (পাঁচ লক্ষ ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।