ঢাকা, ২২ অক্টোবর মঙ্গলবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল সোমবার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৫৭ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, নরসিংদী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গাজীপুর, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, জামালপুর, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বরিশাল, বরগুনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব মো: মাসুম আরেফিন, জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব মাগফুর রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক তেজগাঁও, রমনা ও গেন্ডারিয়া এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘মঈন স্টোর’, ‘সাদ্দাম স্টোর-১’, ‘জনপ্রিয় হোটেল’, ‘বাহরাব স্টোর’, ‘স্বপ্নীল রেস্তোরা’, ‘রমা স্টোর’, ‘ফারিয়া জেনারেল স্টোর’, ‘আল-আমিন জেনারেল স্টোর’, ‘সাদ্দাম স্টোর-২’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘হাসান হোটেল’, ‘পিতা মাতা রেস্তোরা’, ‘ক্যাফে মুসলিম’ কে যথাক্রমে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘মিস্টার ব্রেড’, ‘বিসমিল্লাহ ভান্ডার’, ‘পিতা মাতা স্টোর’, ‘বি-বারিয়া বেকারী’ ও ‘নোমান বেকারী’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘ফারিয়া স্টোর-২’ কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল বিভিন্ন কারণে, সর্বমোট ৫৭,০০০/- (সাতান্ন হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অপরদিকে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৫০টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৫,২৬,৭০০/- (পাঁচ লক্ষ ছাব্বিশ হাজার সাতশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি ও সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৪,০০০/- (চুরাশি হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ১০ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ২১,০০০/- (একুশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল, সর্বমোট ৫৭টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ১০টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬,৭৪,৭০০/- (ছয় লক্ষ চুয়াত্তর হাজার সাতশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।