ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) ফাহমিনা আক্তারের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার, প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ২৯ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, রাজশাহী, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, সিলেট, মৌলভীবাজার, বরিশাল, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব মো: মাসুম আরেফিন, জনাব ফাহমিনা আক্তার ও জনাব মাগফুর রহমান কর্তৃক তেজগাঁও, মতিঝিল ও পল্টন এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘মোল্লা বিরিয়ানি হাউজ’ কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘হাজী মিজান এন্টারপ্রাইজ’, ‘চাঁদপুর জেনারেল স্টোর’, ‘মেসার্স আল-আমিন ট্রেডার্স’, ‘মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স’, ‘কামরুলের পিয়াজের দোকান’, ‘মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোর’, ‘ইয়াসিন জেনারেল স্টোর’, ‘ফজলুল মিয়ার পিয়াজের দোকান’, ‘আক্কাস ব্রয়লার’, ‘বিসমিল্লাহ স্টোর’, ‘লাকসাম এন্ড ময়মনসিংহ মুরগী হাউজ’, ‘নূর এন্টারপ্রাইজ’ কে যথাক্রমে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘আল্লাহর দান স্টোর’ কে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা ও পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘মিনা বাজার’ কে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৫৩,৫০০/- (তিপ্পান্ন হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ২৫টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৬৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৩০,০০০/- (তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩,২০০/- (তিরাশি হাজার দুইশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৯ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ২০,৮০০/- (বিশ হাজার আটশত) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ২৯টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৯টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪,৬৬,৭০০/- (চার লক্ষ ছেষট্টি হাজার সাতশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।