ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর সোমবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪৪ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, নেত্রকোণা, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, কক্সবাজার, ফেনী, চাঁদপুর, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, খুলনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বরিশাল, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক মতিঝিল ও ওয়ারী এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘লাজ ফার্মা’, ‘জননী জেনারেল স্টোর’, ‘বাসার এন্টারপ্রাইজ’, ‘দেশ বন্ধু হোটেল’, ‘সুবর্ণা সুইটস’ কে যথাক্রমে ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘বিএফসি’, ‘টেস্টি ট্রিট’ কে যথাক্রমে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘মেসার্স মোরশেদ এন্টারপ্রাইজ’, ‘ডিসেন্ট বেকারী’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ওজনে কারচুপির অপরাধে ‘দেশ বন্ধু হোটেল’ কে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অপরাধে ‘হেলথ কেয়ার ফার্মেসী’ কে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১,৮২,০০০/- (এক লক্ষ বিরাশি হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর খিলগাঁও এবং মধ্যবাসাবো এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করা ও পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৭টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,৩৬,০০০/- (চার লক্ষ ছত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা ও সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ২ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ২,৫০০/- (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৪৪টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ২টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৯০টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬,৩৪,০০০/- (ছয় লক্ষ চৌত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।