ঢাকা, ৫ নভেম্বর মঙ্গলবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল সোমবার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪৪ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, নরিসংদী, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, জামালপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, রংপুর, দিনাজপুর ও গাইবান্ধা-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক গুলশান, মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরে বাংলা নগর এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘নর্থ এন্ড কফি’ কে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘মুন্সীগঞ্জ বাণিজ্যালয়’, ‘নোমান স্টোর’, ‘ইসমাইল এন্টারপ্রাইজ’, ‘মেসার্স দেলোয়ার জেনারেল স্টোর’, ‘আহা এন্টারপ্রাইজ’, ‘জাহানের মাংসের দোকান’, ‘মায়ের দোয়া মাংসের দোকান’ কে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা করে ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘পিজা ইন’ কে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির তৈরির অপরাধে ‘হরস এন্ড হরস’ কে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১,৭৭,০০০/- (এক লক্ষ সাতাত্তর হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
একই দিন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১টি প্রতিষ্ঠানকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা এবং পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২৭,০০০/- (সাতাশ হাজার) টাকাসহ মোট ৩৭,০০০/- (পয়ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৬টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,২০,৭০০/- (তিন লক্ষ বিশ হাজার সাতশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ২ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ৭,৫০০/- (সাত হাজার পাঁচশত) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৪৪টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ২টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৯৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫,৬৪,৭০০/- (পাঁচ লক্ষ চৌষট্টি হাজার সাতশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।