ঢাকা, ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪১ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, গাজীপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, নড়াইল, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, ফেনী, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা, বগুড়া, বরিশাল, পটুয়াখালী-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক বাড্ডা, মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগ এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার’ কে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘আবু বকর স্টোর’, ‘মনির গোস্ত বিতান’, ‘মানিক গোস্ত বিতান’, ‘নাজিম গোস্ত বিতান’, ‘আল্লাহর দান স্টোর’, ‘হাজী জেনারেল স্টোর’, ‘হক জেনারেল স্টোর’, ‘মায়ের দোয়া স্টোর’, ‘মিজান স্টোর’ কে যথাক্রমে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘হোটেল আল মুসলীম’ কে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ‘স্বপ্ন সুপার শপ’ কে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রির অপরাধে ‘কাদেয়া বাদ ফার্মেসী’, ‘মায়ের দোয়া ভান্ডার’, ‘হাশেমের হোটেল’ কে যথাক্রমে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ২৭ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১,৩১,০০০/- (এক লক্ষ একত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৬টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৭৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,০১,০০০/- (চার লক্ষ এক হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১২,০০০/- (বারো হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৫ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে তৎক্ষণাৎ ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৪১টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৫টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৯৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫,৪৪,০০০/- (পাঁচ লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।