অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন রোজায় প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া রোজায়, বাজার নিয়ন্ত্রণে এখন থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯টি পণ্যের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে এসব পণ্য আমদানির ঋণপত্রে মার্জিনের হার সর্বনিম্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোগ্যপণ্যের তালিকায় রয়েছে- ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, মসলা, খেজুর, ডাল, মটর, ফলমূল ও চিনি। সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর নিকট পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারির নির্দেশনার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের নিয়মিত ঋণে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আসন্ন রোজা উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা এখন থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি শুরু করেছেন। ফলে রোজায় ভোগ্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং এসব পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমদানি অর্থায়নের সুদহার কমানো প্রয়োজন। তাই এখন থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য আমদানিতে সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
এভাবে সুদহার ধার্য করার পরও কোনো ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে যে সময়ের জন্য খেলাপি হবে অর্থাৎ মেয়াদি ঋণ বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খেলাপি কিস্তি এবং চলতি মূলধন ঋণের ক্ষেত্রে মোট খেলাপি ঋণের ওপর সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে। এর বাইরে অন্য কোনো সুদ আরোপ করা যাবে না। আর চলতি বছর থেকে ব্যাংকের মোট ঋণের স্থিতির মধ্যে এসএমইর উৎপাদনশীল খাতসহ শিল্প খাতে প্রদত্ত ঋণ স্থিতি পূর্ববর্তী তিন বছরের গড় হারের চেয়ে কোনোভাবেই কম হতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারিসহ সব ধরনের শিল্প, গাড়ি, বাড়ি, আবাসনসহ কোনো ঋণে ৯ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না ব্যাংকগুলো। বিদ্যমান ঋণেও সুদহার এক অংকে নামিয়ে আনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশে আবার নিয়ন্ত্রিত সুদহার ব্যবস্থা চালু হলো। একটি সময় বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রিত সুদহার ব্যবস্থা চালু ছিল। তবে আইএমএফের পরামর্শে মুক্তবাজার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ১৯৮৯ সালে সুদহার নির্ধারণের ক্ষমতা ব্যাংকগুলোর হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও আমানতে এখনও ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে।