ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
নতুন অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পরেই পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই পতন দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি কমেছে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫১টির। আর ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে গত সপ্তাহে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স কমেছে ৫৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ২১৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। অবশ্য তার আগে টানা চার সপ্তাহের পতনে সূচকটি কমেছিল ৪২৩ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও কমেছে। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি কমেছে ২৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ।
ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও গত সপ্তাহে কমেছে। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ১০ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮৬০ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বা দশমিক ৯৬ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৪ হাজার ৩৪১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বা দশমিক ৯৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩৬ কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৬ কোটি ৪৪০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। ১৭২ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স।