অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন রমজানে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি চাহিদার জন্য এখন থেকে কারসাজি শুরু করেছে আসাধু মিল মালিক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। অথচ বর্তমানে প্রতিটা পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে।
পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজি মীর শহিদুল ইসলাম এক প্রতিবেদনে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল ও মসলা জাতীয় পণ্য এবং পেঁয়াজের বাজারের সার্বিক চিত্র বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দীনকে জানিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। আমদানি, কোম্পানির উৎপাদন, পাইকারি বাজার ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে পুলিশের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, চাল, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল ও মসলা পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতার মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দশ দিনে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। তাদের হাতে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আড়তদার ও মিল মালিকরা কারসাজি করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন। সম্প্রতি ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।আর এই বৃদ্ধিও অযৌক্তিক বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আসন্ন রমজানে টিসিবিকে আরও বেশি কার্যকর করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে বাজারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ বাড়াতে হবে। মজুদদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবসায়ীরা পণ্যের সংকট যাতে সৃষ্টি করতে না পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সিটি করপোরেশনকে প্রতিদিন বাজারে বাজারে পণ্যের মূল্য তালিকা টানিয়ে দিতে হবে এবং মূল্য তালিকা অনুযায়ী বিক্রি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। অসৎ ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।