করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। এ পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের ‘বাড়ির কাজ’ দিয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হবে।
শুধুমাত্র এ বছরের জন্য পঞ্চম শ্রেণির ও ইবতেদায়ির শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) এবং অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিতে সার-সংক্ষেপ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) রতন চন্দ্র পন্ডিত বলেন, ‘আগামী অক্টোম্বরের মধ্যে বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও পিইসি-সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে গত বছরের মতো অটোপাশ দিতে হবে। এজন্য প্রধামন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দিতে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। তাতে অনুমোদন দেয়া হলে গত বছরের মতো পঞ্চম শ্রেণির সকল পরীক্ষার্থীকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে তুলে সার্টিফিকেট দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও নানা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ালোখা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বাসার কাজ হিসেবে ওয়ার্কসিট পৌঁছে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। সপ্তাহ শেষে সেগুলো জমা নিয়ে মূল্যায়ন করছেন। আমাদের হাতে এখনো অনেক সময় রয়েছে। আশা করি দ্রুত করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, দ্রুত আমরা বিদ্যালয় খুলে পাঠদান শুরু করতে পারবো। বিদ্যালয় খুলতে আমরা প্রস্তুতি শেষ করে অপেক্ষা করছি।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য সংসদ টিভি এবং বেতারে ক্লাস পরিচালনা ছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় অনলাইনে পাঠদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, ক্ষতি পোষাতে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছে দুই শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে একাধিক বিকল্প মাথায় রেখে এগোচ্ছে সরকার।