ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
ঢাকার যে কোনও গন্তব্যে যেতে বাসে উঠলেই যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। স্বল্প দূরত্বে যাত্রীদের এই বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরিবহন মালিকদের দাবি অনুযায়ী ভাড়া বাড়িয়েছে বিআরটিএ। সেখানে সর্বনিম্ন ভাড়াও নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তা মানছে না কোনো মালিক বা কোম্পানি। নিজেদের মতো করে দাঁড় করিয়েছে ভাড়া।
‘সিটিং সার্ভিস’ নাম দিয়ে এই ‘নিয়মে’ স্বল্প দূরত্বেও যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বেশি ভাড়া। এসব বিষয়ে বাসের চালক, হেলপার কিংবা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললেও তাদের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।
আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সব বাসে বিআরটিএর নতুন ভাড়া তালিকা (চার্ট) টাঙানোর কথা থাকলেও অনেক বাসেই তা পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর ১০, বনানী, মহাখালী, গুলশান এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
মহাখালী থেকে বনানী মোড়ে আসতে রশিদ মিয়া নামের এক যাত্রীকে গুণতে হয়েছে ১৫ টাকা। তিনি বলেন, ২ কিলোমিটার হতে পারে মহাখালী থেকে বনানী মোড় পর্যন্ত। বাসে ভাড়া দিতে হয়েছে ১৫ টাকা। এটাতো আমাদের মধ্যবিত্তদের জন্য খুবই অস্বস্তির।
কাওলা এলাকা থেকে বনানী মোড়ে এসে নেমেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত খোরশেদ আলম। বাস ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুটি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সব কিছুতে ভোগান্তি আমাদের সাধারণ জনগণের। একদিকে নিত্যপণ্যের মূল্যের উর্ধ্বগতি, এখন আবার বাস ভাড়া বেড়েছে, এতো মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ মানতে রাজি নন বাসের চালক-হেল্পাররা। বাসগুলোতে চার্ট ঝোলানো হয়নি কেন জানতে চাইলে বিকাশ পরিবহনের চালক আসলাম বলেন, ‘এখনও নতুন ভাড়ার চার্ট পাইনি। হিসাব করে আমরা ভাড়া নিচ্ছি। তার গাড়ি ডিজেলে চলে দাবি করে তিনি বলেন, গাড়ির ভেতরে বা নিচে চেক করে দেখতে পারেন সিলিন্ডার আছে কিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রজাপতি পরিবহনের এক চালক বলেন, যাত্রীদের অনেক কথা শুনতে হয়। গাড়ি রাস্তায় নামার পর আমরাই বুঝি প্রতি পদে পদে সমস্যার বিষয়।
মহাখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, গতকাল রাতে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটের বাসের নতুন ভাড়ার তালিকা আমরা পেয়েছি। আজ-কালকের মধ্যে নতুন ভাড়ার চার্ট সব বাসে রাখা হবে।