ঢাকা, ১৯ মে রবিবারঃ প্রতি ঈদেই বাড়ি ফেরত মানুষের আবেগ পুঁজি করে কোটি টাকা লুঠে নেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তাদের ঘৃণ্য তৎপরতায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি শতগুণ বৃদ্ধি পায়। এবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় প্রধান কার্যালয় রোজার মাঝামাঝি সময়ে এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন। আজ, রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম এবং সায়েদাবাদে দু’টি অভিযান চালানো হয়।
অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন ও আফরোজা রহমানের উপস্থিতিতে ‘দারুস সালাম’ এলাকায় ৬ টি পরিবহন কোম্পানিকে জরিমানা করেছেন তাঁরা। জানা যায়, এসব কোম্পানির কাউন্টারে বিভিন্ন রুটের ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দিয়ে নাবিল পরিবহন, দেশ ট্রাভেলস, শ্যামলী পরিবহন, শাহ ফতেহ আলী পরিবহন, এনা পরিবহন ও হানিফ এন্টারপ্রাইজকে পাঁচ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই সময়ে সায়েদাবাদে বাস টার্মিনালের অভিযান পরিচালনা করেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও ইন্দ্রানী রায়। টিকেট মূল্য প্রদর্শন না করার অপরাধে, কে কে ট্রাভেলস, স্টার লাইন স্পেশাল, ড্রিমলাইন পরিবহন, এনা ট্রান্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড, আল বারাকা পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রির অপরাধে হিমাচল এক্সপ্রেসকে ২০ হাজার ও হিমালয় এক্সপ্রেসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১১ এর সদস্যরা।