ডিজেলের দাম বাড়ানোর ফলে বাসের ভাড়া বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে চিঠি দিয়েছে বাস মালিক সমিতি।
চিঠির সূত্র ধরে আগামী রোববার (০৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে সব পক্ষ। সেই বৈঠক থেকেই বাসের ভাড়া বাড়ছে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়ায় বেশিরভাগ মালিকরাই বাস চালাতে রাজি না। আমরা বিআরটিকে বাসের ভাড়া বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি। ’
বাসের ভাড়া বাড়ানোর প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘বাসের ভাড়া বাড়াতে বাস মালিকরা একটি চিঠি দিয়েছে। আগামী রোববার বিকেল ৩টায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটা বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠক থেকেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে। তবে একদিকে ধর্মঘট চলবে আর অন্যদিকে ভাড়া বাড়ানোর আলোচনা হবে; দুইটা একসঙ্গে হতে পারে না। ’
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এরই মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন বাস পথে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা পুরোপুরি অযৌক্তিক। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সব কিছুর ওপর পড়বে। সাধারণের জীবন আরো নাজেহাল হয়ে যাবে। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। নয়, এই ১৫ টাকার উছিলায় বাস মালিকরা যাত্রীদের কয়েকগুণ বেশি পকেট কাটবে।
ঢাকায় নিয়মিত বাসে চলাচল করা যাত্রীরা বলছে, ডিজেলের দাম বাড়াতে বাস মালিকদের কিছুই যায় আসে না। বাসের মালিকরা ডিজেলের দাম কমাতে প্রতিবাদ করছে না। এই মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়বে যাত্রীদের ওপর। ডিজেলের দাম লিটারে বেড়েছে ১৫ টাকা। এখন দেখা যাক যাত্রীদের কাছ থেকে কত টাকা ভাড়া বাড়িয়ে নেওয়া হয়। যেখানে বাসের ভাড়া ২/৩ টাকা বাড়ালেই ডিজেলের অতিরিক্ত দাম উঠে যেত সেখানে যাত্রীদের কাছ থেকে অন্তত ১০ টাকা বেশি নেয়া হবে।
এদিকে লঞ্চ ভাড়া বাড়বে কি না আগামীকাল বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন বলেন, লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আগামীকাল বৈঠক হবে এ বিষয়ে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।