দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে শিথিল হয়েছে লকডাউন। ১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন। চলাচলের সময় গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানতে পাঁচটি শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
গতকাল বুধবার বিআরটিএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত পাঁচটি শর্তে চলতে পারবে সব ধরনের যানবাহন । শর্তগুলো হচ্ছেঃ
বাস/ মিনিবাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলতে হবে। পাশাপাশি আসনে বসা যাবে না। গণপরিবহণে আসন বিন্যাস করতে হবে আড়াআড়িভাবে। অর্থাৎ, কোনো আসনে জানালার পাশে যাত্রী বসলে পেছনের আসনের যাত্রীকে করিডরের পাশের আসনে বসতে হবে।
অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলার কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হবে, তা পুষিয়ে নিতে বিদ্যমান ভাড়ার অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।
গণপরিবহণের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, চালকের সহকারী ও টিকিট বিক্রির দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। জীবাণুনাশক ছিটিয়ে এসব যান জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের হাতব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
গণপরিবহণে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে। শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া শর্তগুলোর পাশাপাশি মানতে হবে বিআরটির দেওয়া এই শর্তগুলো। বিআরটিএ এর বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই পাঁচ শর্ত মেনে চলতে পারবে রাইডশেয়ারিং সেবার যানবাহনও।