বেধে দেয়া দামে এলপিজি বিক্রি করতে অস্বীকার করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনে নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে ক্যাব। আইনে এই অপরাধের জন্য কারাদন্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে।
গত শনিবার (১৭ এপ্রিল) ক্যাবের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ন কবীর ভূইয়া বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে এদাবি জানান। এতে বলাহয়, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন খুচরা পর্যায়ে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। গত ১২ এপ্রিল থেকে এই দাম কার্যকর হয়েছে।
নতুন এই মূল্য সারাদেশেই অভিন্ন।
বেসরকারি পর্যায়ের এলপিজির দাম প্রতিকেজি ৭৬ টাকা ১২ পয়সা হিসাবে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ টাকা (মূসকসহ)। আর সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫৯১ টাকা (মূসকসহ) নির্ধারণ করেছে বিইআরসি।
ক্যাব জানিয়েছে, নির্ধারিত মূল্যে এলপিজি বিক্রির এই আদেশ উপেক্ষা করে বাজারে বেশী দামে বেঁচাকেনা চলছে। ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রেগুলেটরি কমিশনকে দেয়া পত্রে লিখেছেন, বিইআরসির নির্ধারিত মূল্য মেনে না চলা এ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন। একই সঙ্গে তা মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনেও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
এজন্য তিনি ক্যাবের পক্ষ থেকে দু’টি সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
প্রথমতঃ
বিইআরসি আইন ২০০৩ এর ধারা ৪২ এবং ৪৩ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহন করা।
দ্বিতীয়তঃ সরকারী এলপিজি মহানগরীর স্ট্রিট ফুড ভেন্ডার এবং বস্তিবাসীদের প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য এলপিজিসিএল কে আদেশ দেয়া।
প্রসঙ্গত বিইআরসি আইন ২০০৩ এর ৪২ ধারা অনুযায়ী আইন অমান্যকারী বেসরকারী লাইসেন্সধারী অনধিক ৩ বৎসরের কারাদন্ড কিংবা পাচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড সেই সাথে পরবর্তীতে একই কাজ অব্যাহত রাখলে প্রতিদিনের জন্য ৩ হাজার টাকা অর্থদন্ডের ব্যবস্থা করা যায়।
এছাড়াও ৪৩ ধার অনুযায়ী কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করার শাস্তি হিসেবে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড কিংবা ২ হাজার অর্থদণ্ড এবং পরবর্তী একই কাজ অব্যবহত রাখার জন্য ৫০০ টাকা অর্থদন্ড করার বিধান আছে।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে মহামান্য হাইকোর্ট মূল্য নির্ধারণ করার জন্য বিইআরসিকে নির্দেশ দেয়। সেই প্রেক্ষিতে ১২ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি।