‘এ চাল তো সম্পূর্ণ পচা। রং বিবর্ণ, কালচে আবার কতকটি লালচে। পোকা হাঁটাচলা করতাছে। গরিব হওয়ায় আমাদের জন্য পচা চাল! এই চাল খাওন যায়? তারপরও কী আর করার, কে দেখবে আমাদের কষ্ট?’- আক্ষেপ করে বলছিলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা নবান আলী। তার মতো আরও অনেক ভিজিডির উপকারভোগীর মাঝে এমন পচা ও পোকা ধরা নিম্নমানের চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। খাওয়ার অনুপযোগী এসব চাল উপকারভোগীরা খেতে পারছেন না। তবে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ বলছে- রং যেমনই হোক চালের গুণগত মান ঠিক আছে। খেতে কোনো সমস্যা নেই।
মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশাদ আজিজ রোকন বলেন, ‘এবার ভিজিডির চালের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এত নিম্নমানের চাল কখনো দেখিনি। এ চাল বিতরণের কারণে উপকারভোগীরা আমাদের গালমন্দ করছেন। বিষয়টি উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিতরণের কথা বলেন। ফলে বাধ্য হয়ে চাল বিতরণ করি।
তবে এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলম বলেন, চালের রং লালচে হওয়ার কারণ বেশি হিট পেয়েছে। তবে চালের গুণগত মান কমেনি। খাওয়ার সম্পূর্ণ উপযোগী। এতে কোনো সমস্যা নেই। সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাঘাটা উপজেলার ১০ ইউনিয়নে মোট ভিজিডির উপকারভোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮০ জন। এর মধ্যে উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিটির উপকারভোগী ২০৩ জন। গত মঙ্গলবার এসব চাল বিতরণ শুরু হয়। তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে উপকারভোগীরা ভিজিডির এই চাল পাচ্ছেন।