ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক
গ্যাসের মতো বিদ্যুৎ খাতেও সিস্টেম লসের কারণে অপচয় হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। ১ শতাংশ সিস্টেম লস হলেই অন্তত ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি গুনতে হয় বিদ্যুৎ খাতে। এসবের দায় চাপে গ্রাহকের ওপর। শিগগিরই গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া।
গত এক যুগে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়েছে পাঁচ গুণ। সঞ্চালন লাইন বেড়েছে পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি। বিতরণ লাইন বেড়ে হয়েছে প্রায় তিন গুণ। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। সবার ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সংযোগ সহজ হয়েছে। এরপরও বিদ্যুতের অপব্যবহার ও চুরি বন্ধ হয়নি। সিস্টেম লস প্রতিবছর কিছু করে কমছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রত্যাশিত জায়গায় আসেনি।
বিইআরসির তথ্য বলছে, এক যুগে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১১৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে এবং খুচরা দাম প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে নতুন করে ৬৪ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৬৬ থেকে ৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বিইআরসিতে। আজ ১৮ মে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও বাড়ছে। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের অতিরিক্ত সক্ষমতা বসিয়ে রেখে ভাড়া (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) প্রদান ও সিস্টেম লসের অপচয় কমাতে পারলে উৎপাদন ব্যয় এতটা বাড়ত না। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সরকারের ভর্তুকির পাশাপাশি দাম বাড়িয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিতে হচ্ছে। গত এক দশকে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ায়। আর সিস্টেম লসে বছরে অপচয় হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।
২০১০-১১ সালে বিদ্যুৎ খাতে সামগ্রিকভাবে বছরে গড় সিস্টেম লস ছিল ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে (২০২০-২১) এটি কমে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এর মধ্যে সঞ্চালন লাইনে ক্ষতি হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। আগের বছরের চেয়ে এটি বেড়েছে। দেশের একমাত্র সঞ্চালন কোম্পানি পিজিসিবি (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ) বলছে, সঞ্চালন লাইন প্রতিবছর বাড়ছে। উপকেন্দ্র, ট্রান্সফরমারের সংখ্যা বাড়ছে। এতে বিদ্যুৎপ্রবাহে কারিগরি ক্ষতি বাড়াটাই স্বাভাবিক। উচ্চ ভোল্টেজে বিদ্যুৎপ্রবাহ বাড়লে ক্ষতি কমে আসবে।
এ বিষয়ে পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বলেন, আরও এক হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বাড়বে। এতে সিস্টেম লস বাড়ার কথা। এ বছর তা ৩ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অপচয় কমানো হচ্ছে। ভারতের চেয়ে এটি এখনো কম আছে।
সঞ্চালন লাইনে ক্ষতি ২ দশমিক ৭৫ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে থাকলেই আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকে। খরচ হিসাব করার ক্ষেত্রে এটি ৩ শতাংশ পর্যন্ত বিবেচনা করে বিইআরসি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ সংস্থাগুলোর দেওয়া সিস্টেম লসের হিসাব যাচাই–বাছাই করে দেখা হবে।
ঢাকার বাইরে বেশি অপচয় বিতরণে
গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে এখন ছয়টি বিতরণ কোম্পানি কাজ করছে। এর মধ্যে ঢাকায় কাজ করে দুটি কোম্পানি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। উত্তরবঙ্গে কাজ করা নর্দান ইলেকট্রিসিটি কোম্পানি (নেসকো) আছে সিস্টেম লসের শীর্ষে। গত বছর তাদের এ খাতে অপচয় ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর পরই আছে দেশের সবচেয়ে বড় বিতরণ সংস্থা পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। তাদের সিস্টেম লস ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। পিডিবির সিস্টেম লস সাড়ে ৮ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকার বাইরে সিস্টেম লস পুরোপুরি কারিগরি। ঢাকার মতো ঘনবসতি না থাকায় গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে লম্বা বিতরণ লাইন পার হতে হয়। বিদ্যুৎ যত বেশি দূরে প্রবাহিত হবে, তত অপচয়ের আশঙ্কা বেশি। অনেক অঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নেই। যার ফলে দূর থেকে বিদ্যুৎ আনতে গিয়ে ভোল্টেজও কমে যায়। এতেও অপচয় বেশি হয়। নেসকোর এক কর্মকর্তা বলেন, যমুনা সেতুর পাড় থেকে সীমান্তবর্তী তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে অপচয় বেড়ে যায়। এবার এটি কমানোর চেষ্টা চলছে। চলত অর্থবছরে সিস্টেম লস কমিয়ে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে আনার আশা করছে নেসকো।
বিতরণ পর্যায়ে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ শতাংশ পর্যন্ত সিস্টেম লস আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করা হয়। এটি একমাত্র করতে পেরেছে ডেসকো। গত বছর তাদের সিস্টেম লস ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর ডিপিডিসির ক্ষেত্রে এটি ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগের বছরের চেয়ে এটি কিছুটা বেড়েছে। এবার এটি সাড়ে ৫ শতাংশের মধ্যে আনার চেষ্টা করছে ডিপিডিসি। এ কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ১ শতাংশ সিস্টেম লস কমাতে পারলে কোম্পানির ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। পুরান ঢাকায় অনেক অবৈধ সংযোগ আছে। বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চলছে। মিটার যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, গ্রীষ্মে সরবরাহ বাড়ানোর সময় অপচয়টাও একটু বেড়ে যায়। সিস্টেম লসে কোম্পানির ক্ষতি। তাই সতর্ক নজরদারি করা হচ্ছে। এবার কোনোভাবেই এটি ৬ দশমিক ২ শতাংশের বেশি হবে না।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে পিডিবি বলছে, এ বছর (২০২১-২২) ৮ হাজার ৬৪৬ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হবে ৮ টাকা ৩১ পয়সা। এ হিসাবে ১ শতাংশ সিস্টেম লসের ক্ষতি দাঁড়ায় বছরে ৭১৮ কোটি টাকা। গ্যাসের দাম বাড়লে এটি আরও বাড়বে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামগ্রিকভাবে ৬ শতাংশ পর্যন্ত সিস্টেম লস মেনে নেওয়া যায়। এ হিসাবে আরও ৫ শতাংশ সিস্টেম লস কমাতে হবে। এটি করা না গেলে বাড়তি ৫ শতাংশ সিস্টেম লসের কারণে বছরে অপচয় হবে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি।
তবে ভোক্তার হিসাবে অপচয়ের পরিমাণ আরও বেশি। পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের গড় দাম দাঁড়াবে ১১ টাকা ৬০ পয়সা। এ হিসাবে ১ শতাংশ সিস্টেম লসে অপচয় হবে এক হাজার কোটি টাকার বেশি। গত অর্থবছরে ৭ হাজার ৮৬৫ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে পিডিবি। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে গ্রাহক খরচ করেছে গড়ে ৮ টাকা ৩৬ পয়সা। এ হিসাবে ১ শতাংশ সিস্টেম লসে গত বছর অপচয় হয়েছে প্রায় ৬৫৮ কোটি টাকা।
সিস্টেম লসের টাকা গ্রাহকের কাছ থেকেই আদায় করা হয় বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। তারা বলছে, সিস্টেম লস কমিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। এটি করা গেলে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের সরবরাহ খরচ কমে আসবে। গ্রাহকের ওপর বাড়তি বিলের বোঝা চাপাতে হবে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, চুরি পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। এখন যতটুকু সিস্টেম লস হচ্ছে, তা কারিগরি। দেশে এখন সন্তোষজনক পরিস্থিতিতে আছে। বর্তমান অবকাঠামোয় এর চেয়ে খুব বেশি কমানো সম্ভব নয়। উন্নত দেশেও সিস্টেম লস ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকে। ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো পুরোপুরি বদলে গেলে দেশেও এটি সম্ভব হবে।
সিস্টেম লস থেকে শত শত কোটি টাকা অপচয় হলেও পিডিবি ছাড়া বিদ্যুৎ খাতের সব প্রতিষ্ঠান মুনাফায় আছে। বিদ্যুৎ খাতে বিতরণ কোম্পানির মধ্যে ডিপিডিসি গত অর্থবছরে নিট মুনাফা করেছে প্রায় ১০৮ কোটি টাকা। ডেসকোর নিট মুনাফা ৭৩ কোটি টাকা। পল্লী বিদ্যুতের নিট লাভ ২০ কোটি টাকা। ওজোপাডিকোর নিট লাভ ২৪ কোটি টাকা। নেসকোর লাভ প্রায় ১৮ কোটি টাকা। আর বিদ্যুৎ সঞ্চালনের কোম্পানি পিজিসিবি গত অর্থবছরে লাভ করেছে ৩৩৭ কোটি টাকা। লাভে থেকেও প্রতিটি কোম্পানি বিদ্যুতের দামের পাশাপাশি বিতরণ ও সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর আবেদন করেছে।
ঘাটতি মোকাবিলায় প্রতিবছর ভর্তুকি পাচ্ছে পিডিবি। ৭ হাজার ৪০০ কোটি থেকে বেড়ে গত বছর পিডিবির ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ বছর এটি আরও বাড়তে পারে। পিডিবি বলছে, লোকসান ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। তাই বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় তারা।
ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, ভুতুড়ে বিল সমন্বয় করার অনেক রেকর্ড আছে বিতরণ কোম্পানির। এসব বিল সমন্বয় করে সিস্টেম লস কমিয়ে দেখায়। বাস্তবে এর পরিমাণ আরও বেশি। অন্য দেশের মতো দীর্ঘ সঞ্চালন লাইন দেশে নেই। তাই এটি অন্য দেশের চেয়ে কম হওয়ার কথা। সিস্টেম লসের অপচয় ভোক্তার ওপর চাপানো হচ্ছে। অথচ এসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করায় বিইআরসি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
সিস্টেম লসের সরকারি হিসাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই একমত নন। তাঁরা বলছেন, এখানে শুভংকরের ফাঁকি থাকতে পারে। বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ হয়নি। বিদ্যুৎসংযোগ সহজ করার কারণে এটি কমতে শুরু করেছে। প্রতিটি বিদ্যুৎসংযোগের ক্ষেত্রে একটি বাধ্যতামূলক বিল নির্ধারণ করা আছে। কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও প্রতি মাসে এটি পরিশোধ করতে হয়। যত বড় গ্রাহক, সর্বনিম্ন বিলও তত বেশি। অনেক গ্রাহক আছে, যারা নিয়মিত বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেই এমন বিল দিচ্ছেন। এসব টাকা রাজস্বে যোগ হওয়ায় সিস্টেম লস কমিয়ে দেখানোর সুযোগ আছে।
ক্যাব বলছে, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এতে তো সিস্টেম লস কমার কথা। প্রতি মাসের ও প্রতিটি ফিডারের (গ্রাহকশ্রেণি অনুসারে আলাদা ক্ষমতার লাইন) আলাদা করে সিস্টেম লসের হিসাব দিতে হবে। ঢাকায় ৮৫ শতাংশ গ্রাহক ১৩২ কেভি লাইন (ফিডার) থেকে বিদ্যুৎ নেয়। এর সিস্টেম লস ৩ শতাংশের কম। বিতরণ খাতে সিস্টেম লসের বাৎসরিক গড় দেখানোর মধ্যে গোঁজামিল আছে। আলাদা করে তথ্য দিলে এগুলো স্পষ্ট হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ম. তামিম বলেন, অবৈধ সংযোগ আছে, এখনো চুরি হচ্ছে। এসব বিষয়গুলোও দেখা উচিত। কাগজে-কলমে এখন যা সিস্টেম লস আছে, তা উন্নতির ইঙ্গিত করে। এটি আরও কমানোর সুযোগ আছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের নিজস্ব ব্যবহার কমানো যেতে পারে।
খবরঃ প্রথমআলো