করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ছে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী রোববার শেষ হচ্ছে চলমান লকডাউন।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও এবার বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেনি। তাই টানা এক মাসেরও বেশি সময় বিধিনিষেধের পর সরকারও আর জনগণের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত করা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াতে চায় না।
করোনা সংক্রমণ যেহেতু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, তাই এখন স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিলেই সামনের দিনগুলোতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভবনা থাকবে না। এভাবেই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তারপরও সবকিছু আগামী রোববারের মধ্যে চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
তারা আরও বলেন, নতুন করে বিধিনিষেধ দেয়া না হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ কিছু নির্দেশনা দিয়ে রোববার (২৩ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। তবে সরকার যদি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে চায়, তাহলে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে বলে।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা বলেন, ‘এখন আমাদের মূল ফোকাস দু’টি জায়গায়- একটি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নেয়া। অন্যদেরও সহকারকে সহযোগিতা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে বিপদ আছে।’‘বিধিনিষেধ ভালো কিন্তু বিধিনিষেধের একটি সীমাবদ্ধতা আছে যে, একটি সার্টেন টাইম পর কন্টিনিউ করতে গেলে মানুষের জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেজন্য যখন সংক্রমণ খুব দ্রুত বাড়বে তখন হার্ডব্রেক হিসেবে লকডাউন দিতে হবে। আর লকডাউনের ফলাফল যখন পাবো, যেমন আমরা পেয়েছি- এখন মূলত ফোকাস করতে হবে স্বাস্থ্যবিধির ওপরে। এর বিকল্প কিছু নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর দ্বিতীয় হলো- টিকা কীভাবে আরও বিভিন্ন সোর্স থেকে এনে টার্গেট পপুলেশন যে ১২ কোটি নির্ধারণ করেছি, তাদের সেটা দেয়া নিশ্চিত করা। অর্থাৎ একটা হলো স্বাস্থ্যবিধি, আরেকটা হল টিকা।’