ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ মোকাবিলায় দোকান-শপিংমল খোলা রাখার সময়সীমা কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। এটাও প্রস্তাব করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হোটেল-রেস্টুরেন্টে খেতে হলে টিকা দেওয়ার কার্ড দেখাতে হবে। মাস্ক পরে যেতে হবে।’
তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তবে স্কুলের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। তখন আর স্কুল চালিয়ে রাখা যাবে না। এখনো সেই সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি, সেই পরিস্থিতি এখনো দেশে বিরাজ করছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন, লকডাউন দেওয়া হবে কি না, পাশের দেশে (ভারতে) তো দিয়েছে। আমরা সেই চিন্তা এখনো করছি না। যদি অবস্থা আওতার বাইরে যায়, সংক্রমণ অনেক বৃদ্ধি পায়, তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে পুলিশ পাহারা বসানো হবে। এবিষয়ে দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।
১৫ দিন পর এসব বিষয় বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ডিসি, এসপিসহ যারা জেলা পর্যায়ে দায়িত্বে আছেন, তাদের বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো তারা যখন হাতে পাবেন, দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন। আগে ১৫ দিনের কথা বলা হয়েছে। আজ আমি প্রস্তাব করেছি ১৫ দিন নয়, সাতদিন করার জন্য। সেটা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস ও অন্যান্য যানবাহনে যাত্রী অর্ধেক পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে মাস্ক পরে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারের জরিমানা হবে, যে যাবে তারও জরিমানা হতে পারে।’
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা দেশকে নিরাপদ রাখতে চাই। দেশের অর্থনীতি ভালো থাকুক। জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে চলুক। এজন্য আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। শুধু সরকার কিংবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একা পারবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ও বয়স্ক ব্যক্তিরা সাবধানে থাকবেন। ওমিক্রন দু-তিনগুণ বেশি হারে সংক্রমণ করে।
এর আগে ওমিক্রন মোকাবিলায় সোমবার (৩ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে নানান ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।