কঠোর বিধিনিষেধে দূরপাল্লার পরিবহন না চালানো ও দিনের বেলায় ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের স্রোত আটকানো যাচ্ছে না। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে ভোগান্তি টেনে ও অতিরিক্ত ভাড়া গুণে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে ছুটছে মানুষ।
রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল, শ্যামলী বাস টার্মিনালে হাতে ব্যাগ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে মানুষ। সিএনজি, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে যে যেভাবে পারছেন ঢাকা ছাড়ছেন।
ডি লিংক, ঠিকানা পরিবহনের দুটো বাস যাত্রীপ্রতি ৩০০ টাকা করে ভাড়া নিয়ে গাবতলী থেকে পাটুরিয়া যাচ্ছে জানিয়ে ঠিকানা বাসের এক হেলপার বলেন, ‘এখন ফেরি বন্ধ; তবে রাতের দিকে ফেরি খুলে দেয়। আমিনবাজার থেকে উত্তরবঙ্গগামী বাসও ছাড়ে রাতে। এ কারণে যাত্রীদের ভিড় আছে।’
সিএনজি, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ছোট ও হালকা যানবাহনে সাভার, বাইপাইল ও পাটুরিয়া যাচ্ছেন যাত্রীরা। এক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। বেশিরভাগ মানুষই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। উপেক্ষিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্বও।
নাজমুল হাসান নামের এক ব্যাক্তি গাবতলী থেকে ৫০ টাকায় ভ্যান ভাড়া করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমিনবাজার থেকে একটা ব্যবস্থা করবো, বাস যদি না পাই তাহলে আবার ফিরে আসবো।’
আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ থাকলেও গাবতলী পুলিশ বক্সের আগে কয়েকটি বাসকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত যাত্রী নিতে দেখা যায়।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে পরিবহন চালানো কিংবা জেলার বাইরে না যাওয়ার নিয়মকে তোয়াক্কা না করে এসব গাড়ি চলছে।