করোনা মোকাবেলায় দেশের শুরু হচ্ছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ব্যতীত বন্ধ থাকছে সকল দোকানপাট প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা। ব্যতিক্রম ঘটবে না গার্মেন্টস এর ক্ষেত্রেও। খাদ্যপণ্য চামড়া ঔষধ ছাড়া বন্ধ থাকবে সকল প্রতিষ্ঠান, কল কারখানা। বিধি-নিষেধের আওতার
যার ফলে বিপাকে পড়েছে পোশাক কারখানাগুলো। পোশাক মালিকরা চায় রপ্তানিমুখী কারখানা যেন খোলা থাকে।
কিন্তু সে ব্যাপারেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জনগণের ঈদুল আযহা উদযাপনের ভোগান্তি লাঘব করতে ও দেশের অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে লকডাউন
শিথিল করা হয়েছিল ১৪ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে রাখা হয়েছে কিছু কঠোর বিধি নিষেধ।জনগণের ঈদুল আযহা উদযাপনের
ভোগান্তি লাঘব করতে ও দেশের অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল ১৪ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
কিন্তু ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে রাখা হয়েছে কিছু কঠোর বিধি নিষেধ।
গত ১৩ জুলাই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় সেখানে উল্লেখ ছিল দেশের সরকারি-বেসরকারি
অফিস সহ সকল শিল্প-কারখানা সারাদেশে বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহনও।
উক্ত বিষয় নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ জুলাই। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমই এর সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি পোশাক কারখানা খুলে রাখার দাবি জানান। গত ১৭ জুলাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে জানানোর কথা থাকলেও এখনো জানানো হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে
মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিধি-নিষেধের আওতার বাইরে থাকবে তিনটি সেক্টর। সেখানে বলা হয় আওতা বহির্ভূত হবে খাদ্য ও খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনে প্রক্রিয়াকরণ মিল, কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান।
আরও বলা আছে, করোনা প্রতিরোধে যেসকল পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে যেসকল জিনিস প্রয়োজন তা বিধি-নিষেধের আওতাভুক্ত হবে না। এর মধ্যে রয়েছে ঔষধ, অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক শিল্প।
এইচ এম || ভোক্তাকণ্ঠ
ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন
বিধি-নিষেধের আওতার