লকডাউনের বিপাকে পড়েছেন ভ্রাম্যমাণ সবজি ও মাছ ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তাদের বিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকে। পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও ক্রেতা নেই। খুব একটা ভালো নেই পাইকারি বাজার থেকে সবজি কুড়িয়ে যারা বিক্রি করে রুটি রুজির ব্যবস্থা করেন তারা। ক্রেতারা বলছেন, খুব বেশি প্রয়োজন না পড়লে বাজারে যান না তারা।
বুধবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যে উঠে আসে সময় সংবাদের।
ষাটোর্ধ্ব লিয়াকত মিয়া ২০ বছরের বেশি সময় ধরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে সবজির কিনে মাথায় নিয়ে দিনভর পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করে আসছেন। তবে গত কয়েক দিনের লকডাউনে তার বিক্রিতে ভাটা পড়েছে বলে জানান তিনি।
আম্বিয়া বেগম। ৪৬ বছর ধরে কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কুড়িয়ে কিংবা খুবই সামান্য কিছু কিনে বাজারের বাইরের রাস্তায় বিক্রি করেন। এখানকার এমন বিক্রেতাদের বেশির ভাগই নারী। যাদের রুটি রুজির ভরসা অল্প লাভে সবজি কুড়িয়ে বিক্রি করা। এ করোনা মহামারিতে তারাই বেশি পড়েছেন বিপাকে।
করোনার মহামারিতে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা হয়েছেন। ভ্যানগাড়িতে করে সবজি নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘুড়ে বেড়ান বিভিন্ন এলাকায়। তবে ৫০ টাকার নিচে সবজি নেই।
এদিকে, মহল্লার সবজির দোকানেও নেই বিক্রি। একদিকে রোজা তারওপর লকডাউন। সব মিলিয়ে নাজহাল এ সব স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের।
পণ্যের সরবরাহের কমতি না থাকলেও খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাজারমুখী হতে চাচ্ছেন না ক্রেতারা। তাদের আনাগোনা কমায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে নিম্ন আয়ের বিক্রেতাদের ওপর।
পাড়া-মহল্লা কিংবা ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতারা, স্বল্প পুঁজির এসব ব্যবসায়ীরা এখন করোনা মহামরি মাথায় নিয়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত করছেন টিকে থাকার লড়াই।