জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল:
বিবাহিত ছাত্রীদের আবাসিক হল ছাড়তে নোটিশ দিয়েছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আলেমা খাতুন ভাসানী হল’ কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পর এবার এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলটির কর্তৃপক্ষ। হল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আলেমা খাতুন ভাসানী হলের শিক্ষার্থীরা জানান, হল প্রাধ্যক্ষ ১১ ডিসেম্বর নোটিশ বোর্ডে বিবাহিত শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হলের নিয়ম অনুযায়ী বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে বিবাহিত ছাত্রীদের সিট ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হলো।’
ওই নোটিশে বিবাহিত ছাত্রীদের তথ্য কর্তৃপক্ষকে জানাতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়। না জানালে জরিমানা ও সিট বাতিলের শাস্তি দেওয়া হবে। নোটিশে লেখা হয়, ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে হল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। না জানালে নিয়মভঙ্গের কারণে জরিমানাসহ সিট বাতিল করা হবে।
নাম প্রকাশ না করে বিবাহিত একজন শিক্ষার্থী জানান, বিবাহিত-অবিবাহিত সবারই হলে থাকার অধিকার রয়েছে। এ ধরনের আইন অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। হলে অনেক বিবাহিত শিক্ষার্থী রয়েছেন।
আবাসিক ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনেক মেয়েই আছেন, যাদের অধ্যায়নরত অবস্থাতেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ে হলেও হলে থেকেই তারা নিয়মিত লেখাপড়া চালিয়ে যান। এ ধরনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ায় বিবাহিত মেয়েদের লেখাপড়ায় সমস্যা হবে। হলে থেকে নিরাপদ ও কম খরচে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘বাইরে থাকতে খরচ যেমন বেশি হয়, তেমনি নিরাপত্তা নিয়েও আছে শঙ্কা। তাই বিবাহিত ছাত্রীদের হল ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নিয়েছেন, ছাত্রীদের সমস্যাগুলো ভেবে পুনরায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
আলেমা খাতুন ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ রোকসানা হক বলেন, ‘নিয়মটি নতুন বা হঠাৎ করে আসেনি। হল প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই নিয়ম রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসরণ করেই এখানেও নিয়ম করা হয়েছে। প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মটি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’