অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বকে আরেকটি দ্বিতীয় মহামন্দার জন্য প্রস্তুত থাকতে সতর্ক করেছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়না আবার ওখানে তার সম্ভাবনা কম বলেও বলা হয়।
পিপলস ব্যাংক অব চায়না বলছে, বিশ্বকে অবশ্যই সবচেয়ে খারাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে যদিও ঝুঁকির আশঙ্কা কম। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ঝু জিন সম্প্রতি স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পরিস্থিতি এ রকম নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে গেলে এবং আর্থিক ঝুঁকির জন্য প্রকৃত অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হলে এই ঝুঁকি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি জানায়, জনস্বাস্থ্য রক্ষার তাগিদে অর্থনৈতিক সব কার্যকলাপ বন্ধ করে যে ক্ষতি হচ্ছে—এতে অর্থনীতিবিদেরা এটা ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন যে কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক ধাক্কা ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার চেয়েও আরও বেশি মারাত্মক হবে। এমনকি ১৯২৯ সালের মহামন্দার মতো (গ্রেট ডিপ্রেশন) পরিস্থিতি হতে পারে।
তবে অর্থনীতিবিদেরা এও আশা করছেন, বিশ্বব্যাপী সংকোচন হলেও এটি ১৯৩০ এর দশকের সংকটের মতো মারাত্মক হবে না। কারণ যখন লকডাউন উঠে যাবে তখন অর্থনীতি স্বাভাবিকভাবে পুনরুদ্ধার হবে।
বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে মারাত্মক ক্ষতি করেছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন। দেশটির শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ মার্চ পর্যন্ত ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন, যা রেকর্ড।যা তার আগে সপ্তাহেই ছিল ৩৩ লাখ।চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে চীনের আমদানি ও রপ্তানি দুটোই ব্যাপক কমেছে। বিশ্বের কারখানার এই অবস্থা পুরো বিশ্বের জন্যই অশনিসংকেত। বৈশ্বিক বাজার ইতিমধ্যেই ৩৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। ঋণের বাজার নেমে এসেছে ২০০৮ সালের অবস্থানে।