বিশ্ববাজারে তেল–চিনির দাম কমলেও ভিন্নচিত্র বাংলাদেশের

ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: বিশ্ববাজারে তেল–চিনির দাম কমলেও বেড়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় “ জানুযারী মাসে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় দাম টনপ্রতি ৮৭৬ ডলার সেখানে মার্চ মাসে টনপ্রতি অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম দাঁড়ায় ৭৪৮ ডলার।

এদিকে জানুয়ারিতে পাম তেকের দাম ছিল টন প্রতি ৮১০ ডলার , সেটা এখন ১৭৫ ডলার কমে ৬৩৫ ডলারে নেমেছে।

একইভাবে এক মাসের ব্যবধানে চিনির দাম কমেছে কেজিতে ৪ টাকার বেশি।

অন্যদিকে বাংলাদেশে এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ৯৭ টাকায়, একমাস আগে যা ছিল ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, যা আগে ছিল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় ১৪ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে, যা প্রায় পুরোটাই আমদানি করে মেটানো হয়। দেশে উৎপাদিত হয় ৬০ হাজার টনের মতো।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অপরিশোধিত চিনি আমদানি শুল্ক ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়। আবার নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়। একই ভাবে ভোজ্যতেলের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) তিন স্তরে আরোপ করা হয়। এতে করে ৩ টাকার মতো কর বাড়ে।

কোম্পানিগুলোকে এখন প্রতি কেজি চিনিতে কর দিতে হয় ২৪ টাকার মতো আর প্রতিকেজি তেলে কর দিতে হয় ১৮ থেকে ২০ টাকার মতো।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তেল ও চিনির ওপর কর কমানোর সুপারিশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি এনবিআর।