অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারীরতে সারাবিশ্বে ১৬০ কোটি মানুষ জীবিকা হারাতে পারে, যা মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক। গতকাল বুধবার করোনা ভাইরাস পর্যবেক্ষণের তৃতীয় সংস্করণে এসব কথা বলেছে।
আইএলও বলছে, করোনা ভাইরাসের কারনে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম মাসে বিশ্বব্যাপী অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকের আয় কমেছে ৬০ শতাংশ, যা আফ্রিকার দেশের ক্ষেত্রে ৮১ শতাংশ। আর যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ।
আইএলওর পর্যবেক্ষন আরো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ও ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া হারাবে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ কর্মঘণ্টা হারাবে ।
আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পটিআইনেন বলেন, করোনা ভাইরাসে নারী, যুবক, বয়স্ক শ্রমিক, অভিবাসী ও চাকরিজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বয়স্ক কর্মীরা কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় বেকারত্বের ঝুঁকিতে আছেন। কর্মীরা তাদের কর্মস্থানে সামাজিক সুরক্ষা প্রক্রিয়া দ্বারা সুরক্ষিত নন।
আইএলও মনে করছে বিকল্প আয়ের উৎস ব্যতীত এই শ্রমিকদের টেকানো সম্ভব না। এমতাবস্থায় কর্মীদেরকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী এবং নমনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইএলও।