ঢাকা, ১৫ মার্চ রোববারঃ ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার-সুরক্ষিত ভোক্তা-অধিকার’ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে , আজ ১৫ মার্চ বিশ্বের সাথে দেশে পালিত হচ্ছে ‘ভোক্তা অধিকার দিবস’২০২০।
গতকাল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা, পরিচালক জনাব শামীম আল মামুন ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জনগণকে অধিকতর সচেতন করার উদ্দেশ্যে এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ভোক্তা অধিকার বিষয়ক যে কোনো অভিযোগ জানাতে একটি ভোক্তা বাতায়ন শীর্ষক হটলাইন উদ্বোধন করা হবে।
প্রেস ব্রিফিং থেকে জানানো হয়েছে, ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম হিসেবে ঢাকা মহানগরের ৮ টি স্থানে ভ্রাম্যমান জারি গান পরিবেশন করা হবে একইসাথে দেশব্যাপী দিবসটি উদযাপন করা হবে। বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজন করা হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন বলেন আসন্ন মাহে রমজান ও বছর ব্যাপী আমরা একত্রে কাজ করে দেশের ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে উৎপাদক/আমদানিকারক থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে এ বিষয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা বলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয়ের দিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শুধুমাত্র অভিযোগ পেলেই অভিযান পরিচালনা করেনা দেশের যেকোনো সময় দিনে-রাতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে এবং নিয়মিতভাবে প্রতি বুধবার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও ভোক্তাদের সাথে সচেতনতামূলক সভা হচ্ছে এবং ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি, মার্কিন কংগ্রেসে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের ওপর আলোচনা করেন। তাঁর প্রণীত নীতিমালার চারটি মৌলিক অধিকারকে পরিবর্ধিত করে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ এর সাথে আরও আটটি অধিকার যুক্ত করে। এরপর থেকেই কনজুমার্স ইন্টারন্যাশনাল এ সকল অধিকারকে সনদে অন্তর্ভুক্ত করে।